বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি

‘প্রতারক’ সালমান ফরিদী

অপহরণ ও মানবপাচারের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করায় নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের সালমান ফরিদী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। ফরিদপুর জোনের পরিদর্শক কাজী মতিয়ার রহমান জানান, আমরা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। কেউ মিথ্যা মামলা করলে তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ব্যাপারে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। সিআইডির তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, বউ-সন্তানের কথা গোপন রেখে পিরোজপুরের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের মেয়ে উমাইমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ফরিদী। উমাইমা শ্বশুর বাড়ি গেলে ক্ষিপ্ত হন প্রথম স্ত্রী ও স্বজনেরা। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় উমাইমাকে। এ অবস্থায় তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেন। ওই সময় ফরিদী উমাইমাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করেন। জানা গেছে, ফরিদী ঢাকায় ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির কেন্দ ীয় কার্যালয়ে দপ্তর সম্পাদকের কাজ নেন। ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রতিশোধ নিতে পার্টির চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে অপহরণ ও মানবপাচার আইনে মামলা করেন ফরিদী। তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনের ১৫ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিলের জন্য নগরকান্দা থানাকে অবহিত করেন সিআইডি কর্মকর্তা কাজী মতিয়ার রহমান। এদিকে, উমাইয়া পিরোজপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফরিদী তার ওপর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। বিভিন্ন সময় অপরিচিত জায়গায় নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। অত্যাচার নির্যাতনের কারণে তিনি ফরিদীকে ডিভোর্স দিয়ে পিরোজপুরের নানার বাড়িতে চলে যান। ২০১৪ সালে তার সঙ্গে তালাক কার্যকর হয়। কিন্তু বিষয়টি গোপন রেখে স্ত্রী অপহরণ ও মানবপাচারের অভিযোগ এনে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফরিদী। মামলার বিষয়ে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসেন জানান, ফরিদী একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এখন আমরা জানতে পারছি। প্রতারক ফরিদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ফরিদী ফরিদপুরের বিভিন্ন মাদ্রাসায় চাকরিকালীন সময়ে দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ফরিদী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আসেন না। অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর