শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্কুলভবনে রডের বদলে বাঁশ

পাবনা প্রতিনিধি

স্কুলভবনে রডের বদলে বাঁশ

সুজানগর উপজেলার বিন্যাডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনে রডের সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে বাঁশ ও কাঠ

চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে ভবন নির্মাণে এবং মৌলভীবাজারে রেললাইনে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের পর এবার পাবনায় একটি স্কুলের পুরনো ভবনে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের সন্ধান মিলেছে। নির্মাণের প্রায় ২২ বছর পর সম্প্রতি ভূমিকম্পে স্কুলের প্লাস্টার খসে পড়লে বাঁশের অংশবিশেষ বের হলে বিষয়টি নজরে আসে সবার। বাঁশের পাশাপাশি স্কুলের ভবনে বিভিন্ন স্থানে ফাটলের মধ্যে দেখা গেছে কাঠও। সব মিলিয়ে আতঙ্ক নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষকরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার জানালেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। সময় যত পার হচ্ছে, বিদ্যালয়ের ভবনটি ততই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ভবনের দেয়ালে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। দরজার ওপরের ঢালাই ভেঙে বাঁশের বাতা (বাঁশের তৈরি লম্বা লাঠি) বেরিয়ে এসেছে। তার পরও ভবনের বিভিন্ন কক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পাবনা জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সুজানগর উপজেলার প্রত্যন্ত বিন্যাডাঙ্গী গ্রামে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিন্যাডাঙ্গী রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী ১৫০ জন। প্রথমে টিনের ঘরে পাঠদান হলেও ১৯৯৪ সালে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে দুই দফায় স্কুলের ভবন নির্মিত হয়।

ভবনটি নির্মাণে ঠিকাদার ছিলেন সুজানগরের সুলতান মাহমুদ ও আবদুর রউফ। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে এ স্কুল থেকে সন্তানদের নিয়ে গেছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, ‘সম্প্রতি ভূমিকম্পে স্কুলের প্লাস্টার খসে পড়লে বাঁশের অংশবিশেষ বের হলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী বরাবর বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবাই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের ক্লাস করাতে হচ্ছে।’ সুজানগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা নার্গিস আক্তার জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর