বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শীতে বেড়েছে শিশুরোগ হাসপাতালে ভিড়

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি

শীতে বেড়েছে শিশুরোগ হাসপাতালে ভিড়

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু ও স্বজনরা

ঠাণ্ডার মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধদের শীতজনিত নানা রোগ। ফলে এ দুই জেলার হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর ভিড়। কুড়িগ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া শীতবস্ত্রের অভাব ও দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠি।

কুড়িগ্রামে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাত দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা। মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছে লিজা মনি (১০) নামে ডায়রিয়া আক্রান্ত এক শিশু। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ শিশু। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ২৯ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত পাঁচ দিনের অব্যাহত কনকনে ঠাণ্ডায় বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড় না থাকায় কাজে বের হতে পারছেন না তারা।

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হিমালয়ের পাদদেশীয় এ অঞ্চলের হতদরিদ্র পাঁচ লাখ মানুষ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে দিনমজুর শ্রেণির লোকজন কাজে যেতে পারছেন না। জেলার পাঁচটি হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু-বৃদ্ধরা। ক্রমেই বাড়ছে রোগী সংখ্যা। গত তিনদিনে সদরসহ উপজেলা হাসপাতালে ১৮৭ জন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহসান আলী বাবু জানান, তীব্র শীতে হাইপার টেনশন, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। শীতের তীব্রতা আরো তিনদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা আবহওয়া অফিস।

সর্বশেষ খবর