শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে ঘুষবাণিজ্য চলছেই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে বন্ধ হয়নি ঘুষবাণিজ্য। বরং ঘুষের রেট ৮০০ থেকে বৃদ্ধি করে ফাইলপ্রতি ৯০০ টাকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। টাকা না দিলে হয়রানি করা হয় মানুষকে। পোসপোর্ট অফিসের ঘুষের টাকা প্রতি সপ্তাহে ভাগাভাগি করা হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বজলুর রশীদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। অফিসে ঘুষ নেওয়া হয় কিনা আমার জানা নেই।’

ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসের সাবেক কর্তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা তদন্ত : ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সাবেক সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেবের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম গতকাল তদন্ত করেন। এর আগে গত বছরের ২৪ আগস্ট মোত্তালেবের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, ঘুষবাণিজ্য, উত্ত্যক্তসহ যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তদন্ত করেন পাসপোর্ট অফিসের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সংস্থাপন) নাসরিন পারভিন নূপুর। ওই রিপোর্টে ফেঁসে যান মোত্তালেব।

জানা যায়, চাকরি বাঁচাতে উপর মহলে তদবির করে দ্বিতীয় দফা তদন্তের আয়োজন করেন অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিচালক। দ্বিতীয় দফার রিপোর্টটি তার পক্ষে নেওয়ার জন্য মীমাংসিত বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। তদন্ত কর্মকর্তা আবজাউল আলম জানান, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কাজ চলছে। উভয় পক্ষের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করেই রিপোর্ট দেবেন। উল্লেখ্য পাসপোর্ট গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়, দুর্ব্যবহার ও নারী কর্মচারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কারণে ঝিনাইদহ অফিসের সাবেক সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেবকে রাঙামাটি বদলি করা হয়।

সর্বশেষ খবর