শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মেহেরপুরে আবারও ব্লাস্ট ভাইরাসে আক্রান্ত গম

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ব্লাস্ট ভাইরাস প্রতিরোধে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাইকিং করে কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসহী করেছিল। তারপরও জেলায় প্রায় চার হাজার একর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। তবে গত বছরের ন্যায় এবারো দফায় দফায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গম খেত। এর কারণ নিরুপনে ১৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল গত দুইদিন জেলার ব্লাস্ট আক্রান্ত বিভিন্ন খেত পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন— বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জালাল উদ্দিন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, গম গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক নরেশ চন্দ্র দেব বর্মন, আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নতিকরণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা টিমথি জে. ক্রুপনিক।

আক্রান্ত খেত পরিদর্শন শেষে ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন— তারা সম্মিলতভাবে ব্লাস্ট ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই ভাইরাসটি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবে। নরেশ চন্দ্র দেব বর্মন বলেন, গত বছর বাংলাদেশে ব্লাস্ট ভাইরাস শনাক্ত হয়। ব্লাস্ট প্রতিরোধে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যেহেতু এ বছরও ভাইরাসটি দেখা যাচ্ছে তাই আগামী বছর আমরা এ জেলায় গম চাষে নিরুৎসাহী করবো। বিজ্ঞানী ড. টিমথি জে. ক্রুপনিক বলেন, ব্লাস্ট ছোয়াচে ভাইরাস। আক্রান্ত জমি থেকে এই ভাইরাস অন্য জমিতে পোশাকের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে।

মেহেরপুর কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহী করার জন্য গ্রামে গ্রামে আলোচনাসভা, মাইকিংসহ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও কৃষকরা প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, বাকি খেতে সময়মত ‘নাটিভো’ স্প্রে করলে ব্লাস্ট আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। জানা যায়, গত বছর মেহেরপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ছয় জেলায় গম খেত ব্লাস্ট ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। ব্লাস্ট আক্রান্ত গমের বীজ সংরক্ষণ না করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলার দুটি সরকারি গম উৎপাদন খামারের ২৭৬ একর জমির গম পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর