শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সরকারি সেচের ড্রেন ভেঙে ইট ভাগাভাগি

বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

কেয়ারটেকারদের দায়িত্ব ছিল সেচের ড্রেন দেখভালের। অথচ তারাই কাউকে কিছু না জানিয়ে সরকারি পাকা ড্রেন ভেঙে এর ইট ভাগবাটোয়ারা করে নিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি কদমতলায়। এ ঘটনায় সেখানকার কৃষকরা চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর কদমতলা নামক স্থানে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কৃষকের সেচসুবিধার জন্য একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দুই বছর আগে প্রায় সাত লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে সেচের জন্য পাকা ড্রেন। এ গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেখানকার কয়েকশ কৃষক সেচ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। গভীর নলকূপ ও সেচ পরিচর্যার জন্য কেয়াটেকার হিসেবে দেখাশুনা করে আসছেন একই এলাকার কয়েক কৃষক। গত দুইদিন আগে তারা ড্রেন ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার ইট ভাগবাটোয়ারা করে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ড্রেন ভাঙার সময় সাধারণ চাষিরা বাধা দিলেও অভিযুক্তরা কর্ণপাত করেননি। নামুড়ি কদমতলা এলাকার একরামুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ গভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছেন। হঠাৎ কেয়ারটেকাররা ড্রেন ভেঙে ইট নিয়ে যাওয়ায় সেচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। শুধু একরামুলই নয়, এ রকম অভিযোগ সেখানকার বহু কৃষকের। কেয়ারটেকার আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে ড্রেনগুলো ভেঙে ইট হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে কোনো অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাটের সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ড্রেনগুলো ভাঙার জন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ভেঙে তারা ভুল করেছে। তিনি আরও বলেন, নিয়মানুযায়ী উপজেলা সেচ কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করার কথা ছিল কিন্তু তা তারা করেনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার জানান, সরকারি ড্রেন তারা কাউকে না জানিয়ে ভাঙতে পারে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর