সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘বাবার পেশাই ছেলের পেশা’ প্রথা ভাঙছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

‘বাবার পেশাই ছেলের পেশা’— এই প্রথা ভাঙছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা। এই গোষ্ঠীর প্রায় প্রতিটি পরিবারের সন্তানই এখন লেখাপড়ার দিকে ঝুঁকছে। ইতিমধ্যে অনেকে সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। যোগ্য নাগরিক ও লেখাপড়ায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জেলা সদরের বিয়াড়া ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর পল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বরাদ্দ অর্থ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজন চাম্বুগং ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেন। তিন ক্যাটাগরিতে ৪৯ ছাত্রছাত্রীর মাঝে দুই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা আদিবাসী বহুমুখী সমবায় সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিপন সিং, নিবির সরকার, বিজয় সিং ও ইউপি সদস্য হযরত আলী উপস্থিত ছিলেন। স্কুলছাত্রী স্বর্ণা সরকার আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে জানায়, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন আদিবাসী। তিনি দেশের জন্য কাজ করছেন। আমিও তার মতো দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করে যাব।’  সিপন সিং জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সমতল আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ারের প্রচেষ্টায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজং চাম্বুগং জানান, সরকার আদিবাসীদের ভাগ্যোন্নয়ন-দক্ষ-শিক্ষিত জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

সর্বশেষ খবর