বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অর্থকষ্ট ও ঋণের চাপে দুই কৃষকের আত্মহত্যা

ফরিদপুর ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি

অর্থকষ্ট ও ঋণের চাপ সইতে না পেরে ফরিদপুর ও লালমনিরহাটে দুই হতদরিদ্র কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে কৃষিকাজ করতে গিয়ে পা ভেঙে যায় ফরিদপুরের নগরকান্দার গয়েশপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সহিদের। অর্থাভাবে মানসম্পন্ন চিকিৎসা করাতে না পারায় স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরতে পারেননি তিনি। একপর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে কর্মহীন হয়ে পড়েন। মাঝেমধ্যে ঝালমুড়ি বিক্রি করলেও তাতে সংসারের একবেলা খাবারও জোটেনি। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে অর্থকষ্ট ও পায়ের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সহিদ। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল হাসান জানান, সহিদ শত কষ্টের মধ্যেও নিয়মিত নামাজ পড়তেন। সোমবার স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশে গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন স্বজনরা। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারীর চওড়াটারী গ্রামের কৃষক খোরশেদ হোসেনের লাশ সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, খোরশেদ বেসরকারী সংস্থা ‘লালমনিরহাট আরডিআরএস’ শাখা থেকে পাঁচ মাস আগে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতেন। সমপ্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বেকার হয়ে পড়েন খোরশেদ। তখন সংসার চলাতে আবারো দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কিস্তির জন্য প্রতিনিয়ত তাকে চাপ দিত এনজিও সংস্থা ও দাদন ব্যবসায়ীরা। ঋণের বোঝা ও লোকলজ্জায় সোমবার সন্ধ্যায় রশি দিয়ে ফাঁস নেন খোরশেদ। আদিতমারী থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর