শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে কুমির চুরির ঘটনায় মামলা, তদন্তে পুলিশ-র‌্যাব

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনে কুমির চুরির ঘটনায় মামলা, তদন্তে পুলিশ-র‌্যাব

সুন্দরবনের করমজলে লোনা পানির পুরুষ কুমির রোমিও

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজলে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ৪৩টি কুমিরের বাচ্চা চুরি ও হত্যার ঘটনায় বনকর্মী লস্কার মাহাবুব আলম ও জাকির হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বাদী হয়ে দাকোপ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় পরিকল্পিতভাবে কুমির চুরি ও ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে ৯টি কুমির মেরে ফেলাসহ বন্যপ্রাণীর ক্ষতি সাধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে বন বিভাগ ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। গতকাল সকালে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। অন্যদিকে প্রজনন কেন্দ্র থেকে ৬টি মৃত কুমিরের বাচ্চা ও ৩টি কুমিরের বাচ্চার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, চুরি বা পাচারের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে আরও একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল প্রজনন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। দাকোপ থানার এসআই ওমর ফারুক দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমির চুরি ও কুমিরের বাচ্চা মেরে ফেলে রেখে ওই চুরি ভিন্ন খাতে নিতে পরিকল্পিত নাশকতার বিষযটি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি জানান, বরখাস্তকৃত লস্কার মাহাবুব আলম ও অস্থায়ী কর্মচারী জাকির হোসেন দুজনই প্রজনন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার করতে ষড়যন্ত্র করে কুমিরের বাচ্চা পাচার করে। র‌্যাবও চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটকে মাঠে নেমেছে। প্রসঙ্গত, বুধবার বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের দুটি প্যান (কৃত্রিম পুকুর) থেকে ৪৩ কুমিরের বাচ্চা চুরি বা পাচার হয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের বনকর্মী লস্কার মাহাবুব আলমকে সাময়িক বরখাস্ত এবং জাকির হোসেন নামে এক অস্থায়ী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

সর্বশেষ খবর