মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

জমি কেনা নিয়ে রাবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতির টানাপড়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি

ঢাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিজস্ব গেস্টহাউসের জন্য শুধু জমি, না জমিসহ ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য সিন্ডিকেটে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা অনুমোদন নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তারা শুধু জমি নয়, জমিসহ ফ্ল্যাট কিনেছে। শিক্ষক সমিতি বলছে প্রকৃত তথ্য বের করে আনতে তদন্ত করা হোক। শিক্ষক সমিতির সদস্যরা গতকাল বেলা ১১টায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনুর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্যের কাছে তারা ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার দাবিও তোলেন তারা। শিক্ষক সমিতি দাবি করে, জমি ক্রয়ে যদি কোনো অনিয়ম হয় তবে তা কেন হয়েছে সে বিষয়টি খুঁজে বের করা হোক। জমি ক্রয়ে জালিয়াতির ঘটনাটি দেশব্যাপী নিন্দিত হচ্ছে। অথচ ঘটনার কয়েক দিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনু গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন দুর্নীতির সংবাদ এর আগে কখনো প্রকাশ হয়নি। প্রশাসন যদি এর সঠিক জবাব না দেয় তবে আমরা এই ঘটনা তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে এর সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলাদা কোনো জমি কেনেনি। বরং জমিসহ ফ্ল্যাট ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জমি ক্রয় সংক্রান্ত যে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে তা জমি নয়, বরং বর্গফুট অনুযায়ী ১২,৮৯৬ বর্গফুট জমিসহ ফ্ল্যাটের মূল্য। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য ও ঢাকায় জমিসহ ফ্ল্যাট ক্রয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান জানান, ‘ঢাকায় জমিসহ ফ্ল্যাট ক্রয় কমিটি’ গত বছরের ৩১ আগস্ট সভা করে জমিসহ ফ্ল্যাটের মূল্য ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের মূল্য ৭৯০০ টাকা করে ফ্ল্যাটসহ পুরো জমির মূল্য ১০,১৮,৭৮,৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর সঙ্গে ৯টি পার্কিং স্পেস ৪ লাখ করে ৩৬ লাখ, ১৩টি ইউটিলিটি ২ লাখ ২৫ হাজার করে ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেই সঙ্গে ভবনটির নিবন্ধন, ট্রান্সফার ফি, বাউন্ডারি-ওয়াল নির্মাণসহ আরও ২,৩৭,৭১,৬০০ টাকা অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে যা সিন্ডিকেটের ৫১২তম সভায় পাস হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর