বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

১০ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় পুকুরচুরি

তদন্তে কমিটি, কাজ শুরু দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ১০ কোটি টাকার ভারী চিকিৎসা সরঞ্জাম (এমএসআর) না কিনেই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। পুকুর চুরির মতো ঘটনাটি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য খুলনা সিভিল সার্জন অফিস তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আলাদাভাবে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬ ও ১২ চ্যানেলের ১৭টি ইসিজি মেশিন কেনার কথা। কিন্তু কাগজে-কলমে কেনা হলেও বাস্তবে তার একটিও কেনা হয়নি। শুধু ইসিজি মেশিন নয়, হাসপাতালের জন্য ভেনটিলেটরসহ অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ইউরিন অ্যানালাইজার, এক্স-রে মেশিন, কম্পিউটার রেডিওগ্রাফি মেশিন কেনার কথা বলা হলেও তার কোনো হদিস নেই। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা এ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি অর্থায়নে এইচপিএনএসডিপি প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০১৬ সালের জুনে। প্রকল্পের বার্ষিক পরিকল্পনায় জেনারেল হাসপাতালের নাম না থাকলেও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে স্ব্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন পরিচালক (হাসপাতাল) এ অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেন। খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব বিভাগ এ প্যাকেজের কিছু সরঞ্জাম কেনার কথা বললেও হাসপাতালে তা খুঁজে পায়নি। দুদক ইতিমধ্যে সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক গোলাম কিবরিয়াকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অভ্যন্তরীণ অডিটে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ঘটনার তদন্তে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঈনউদ্দিন মোল্লাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে পুরো বিষয়টি এখন আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঈনউদ্দিন মোল্লা জানান, ‘প্রাথমিকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। তবে এখনো কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর