মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোদ বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে হাজারো বস্তা ইউরিয়া

দিনাজপুর প্রতিনিধি

জেলার বড় ইউরিয়া সারের গুদাম দিনাজপুরের ‘পুলহাট বাফার গোডাউন’। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি রাখার পরও কয়েক হাজার বস্তা ইউরিয়া খোলা আকাশের নিচে ছেঁড়া ফাটা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে শুকিয়ে জমাট বেঁধে নষ্ট হচ্ছে এ সার। গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কৃষকরা জমাট বাঁধা সার নিতে আগ্রহী না হওয়ায় ডিলাররাও সার তুলছেন না। চায়না, কাতার, সৌদি আরব থেকে ভর্তুকি দিয়ে আমদানি করা এসব সার এভাবে নষ্ট হওয়ায় সরকার হারাচ্ছেন রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। পুলহাট বাফার গুদামের বাইরে তিন বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। ৫০ কেজি ওজনের বস্তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ কেজিতে। দিনাজপুরের তিনটি বাফার গুদামে মজুদ সারের বাস্তব অবস্থা জানার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

বীরগঞ্জের দামাইক্ষেত্র গ্রামের কৃষক শাহাজাহান সিরাজ জানান, বাজারে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারও ধান চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করেছি। গত বছর শক্ত ও জমাট বাঁধা ইউরিয়া সার জমিতে ব্যবহার করেছিলাম। সেই সার প্রয়োগ করে কোনো ফল হয়নি। পরবর্তীতে আরো সার প্রয়োগ করতে হয়েছিল। ডিলাররা জানান, অনেক দিন গুদামের বাইরে সারের বস্তা পড়ে থাকায় সার শক্ত, জমাট বেঁধে গুণগত মানের কিছুটা পরিবর্তন হয়। কৃষকেরা এ শক্ত, জমাট বাঁধা সার নিতে চান না। পুলহাট বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও দিনাজপুর বিএডিসি (সার) যুগ্ম পরিচালক আফম আফরুজ আলম জানান, ইউরিয়া সারের বাস্তব অবস্থা যাচাই করে শীঘ্রই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর সদর, বিরামপুর ও পার্বতীপুরে তিনটি বাফার গোডাউন রয়েছে। এই তিন গুদামের ধারণক্ষমতা প্রতিটির ছয় হাজার মেট্রিক টন করে। কিন্তু প্রতিটিতে রাখা হয়েছে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ।

সর্বশেষ খবর