ঢাকার ধামরাইয়ে দিন দিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সাবেক ও বর্তমান এমপির দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। এতে হতাশা ও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী। অভিযোগ রয়েছে— ধামরাইয়ে গত উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী দেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বেনজীর আহম্মদ। তখন থেকেই কোন্দলের শুরু। নির্বাচনে তার দাঁড় করানো প্রার্থী বর্তমান এমপি সমর্থিত দলীয় প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর রেষারেষি বাড়তে থাকে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন সাবেক এমপি বেনজীর। বর্তমান এমপি এমএ মালেক অভিযোগ করে বলেন, সাবেক এমপি অনেক নেতা-কর্মীকে দলের অন্যতম আসন দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করেছেন। তাকে ধামরাইয়ের নেতাকর্মীরা ক্ষমা করবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে ঢাকা জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি বেনজীর আহম্মদ তার বিরুদ্বে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ধামরাইয়ে সব নির্বাচনে আমি দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেছি। বর্তমান এমপি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। এদিকে ধামরাইয়ের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন নিজেদের কোন্দল মিটিয়ে ফেলা উচিত। তা না হলে তৃতীয় কোনো শক্তির আবির্ভাব ঘটতে পারে।