বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সড়কের ধুলায় ‘রাঙা’ সব

সংস্কার করতে গিয়ে থেমে গেছে মাঝপথে, সীমাহীন জনদুর্ভোগ

শ্রীপুর প্রতিনিধি

সড়কের ধুলায় ‘রাঙা’ সব

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাড়ারন রেল ক্রসিং থেকে বরমী বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার আধা সংস্কার সড়ক। এ সড়কে জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের। যাতায়াতকারী মানুষ, পরিবহন সবকিছু ধুলায় লালচে রঙ ধারণ করে। ধূসর হয়ে গেছে সড়কের দুই পাশের বাড়ি-ঘর, গাছপালা, দোকানপাট। সবচেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গাড়ারন, বড়পানি, শিমুলতলী, তাঁতীসুতা, বরামা, কায়েতপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। তারা আফসোস করছেন ভাঙা রাস্তাই ভাল ছিল। জানা যায়, সড়কটির সাত কিলোমিটার তিন বছর ধরে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঘটে দুর্ঘটনা। আট মাস আগে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুই কিলোমিটার কাজ শেষ করার পর বাকি অংশে ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। ঢালাই না দেওয়ায় এখন খোয়া-ধুলাবালি মিশে একাকার। যানবাহন চলাচলের সময় ধুলা উড়ে ফসলি জমি, বাড়িঘরে পড়ছে। আশপাশের ঘরের চালা, ফসলের খেত, গাছপালায় পড়ে গেছে বালুর আস্তরণ। গাড়ারন এলাকার কলেজশিক্ষক সোহরাব হোসেন বাদল বলেন, ‘বাসা থেকে পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে বের হই। কর্মস্থলে যাওয়ার আগেই পোশাক লাল হয়ে যায়। ধুলার যন্ত্রণায় গৃহিণীরা বাড়িতে থাকতে চান না।’ মাদ্রাসাশিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির বলেন— শিম, লাউসহ সবজির ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু খাওয়ার উপায় নেই। সবজি বাগানে বালির স্তর পড়েছে। বোরোর বীজতলা, ধান খেত সড়ক থেকে উড়ে আসা বালিতে একাকার। বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র আশিক জানান, ধুলা-বালিতে স্থানীয়দের সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। ঘরের বিছানা, আসবাবপত্র একটু পর পর পরিষ্কার করতে হয়। একদিন পরিষ্কার না করলে মনে হয় এসব শত বছরের পুরনো। গৃহিণী তাছলিমার ভাষ্য, খাবার-দাবারে ধুলাবালি পড়ছে নিয়মিত। তাঁতীসুতা নতুন বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ধুলা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসায়ীরা চাঁদা তুলে সড়কে পানি ছিটিয়েছি। এখন আর পারছি না। তাই দোকান খুলি না’। এভাবে নানা অভিযোগ করেন এলাকার আলমগীর, মামুনসহ অনেকে। শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেন বলেন, সাত কিলোমিটার সড়কের দুই কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। এ সড়কে ভারী যানবাহন বেশি চলে। খোয়া বিছানোর পর কাজের ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন নকশা ও পরিকল্পনা তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। টেন্ডার হলে ফের সংস্কার কাজ শুরু হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর