শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছেন। একটু পর পর ফেলছেন চোখের পাতা। নড়াচড়ার শক্তি নেই। এমনকি কথাও বলতে পারছেন না। মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন মা। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাবিবা খাতুন নওগাঁ সদর হাসপাতলে এখন মৃত্যুশয্যায়। নির্যাতনের ঘটনায় হাবিবার বাবা হাফিজুর রহমান তিনজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। হাবিবার স্বামী অভি ও শ্বশুর শামসুজ্জোহা খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শাশুড়ি সৈয়দা তাহমিনা পলাতক। জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর বিকালে হাবিবার বাবার কাছে খবর পাঠানো হয় তার মেয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্বামীর পরিবার ওইদিন তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার জীবিত আছে জানিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। এর চার দিন পর অচেতন অবস্থায় হাবিবাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ছয় দিন পর রাজশাহীতে অভির এক আত্মীয়ের বাসায় অচেতন হাবিবাকে পান স্বজনরা। এরপর তাকে রাখা হয় রাজশাহী মেডিকেলে লাইফ সাপোর্টে। ১৬ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর চিকিৎসক বার্ন ইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দেন। সেখানে তিন দিন থাকার পর বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আবার নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাবিবাকে।
নির্যাতনের শিকার হাবিবার মাথার পিছনে ও মাজায় বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সামনের পাটির দুটি দাঁত ভাঙা। খাবার দেওয়া হচ্ছে নাক দিয়ে। নওগাঁ হাসপাতালের চিকিৎসক আরশাদ হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির অবস্থা খুবই গুরুতর। এই হাসপাতালে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। কোনো মেডিকেল কলেজ বা নিউরোলোজি হাসপাতালে নিলে ভাল হয়।’ সদর থানার ওসি তোরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত অভি ও তার বাবা শামসুজ্জোহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভির মা তাহমিনাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।