বুধবার, ১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

থমথমে ছাতক, সন্ধান মেলেনি নিখোঁজের

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

থমথমে ছাতক, সন্ধান মেলেনি নিখোঁজের

সুনামগঞ্জের ছাতকে ওয়াজ মাহফিল নিয়ে কওমী মাদ্রাসা ও আলিয়া মাদ্রাসার ফুলতলী পীরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিখোঁজ যুবকের সন্ধান মেলেনি। সোমবার বিকালের ওই সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত এবং পুলিশসহ দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। গত রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্তর্ আহত ৫০ জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। একদিন পেরিয়ে গেলেও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। কোনো পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়নি। সংঘর্ষের পর ছাতক শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় আছেন সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওয়াজ মাহফিল নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলেও ছাতকের প্রভাবশালী তিনটি গ্রামের মধ্যে বাগবাড়ি ও মুক্তিরগাঁও ফুলতলী পীরের এবং গণেশপুর গ্রামের লোকজন কওমী সমর্থকদের পক্ষে যোগ দেওয়ায় তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষের সময় শহরের অন্তত ১৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। নিহত ছাতক পৌর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন বাবুলকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ফুলতলী পীরের সমর্থক বাবুল ছাতক শহরের বাগবাড়ি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। সংঘর্ষের পর গণেশপুর গ্রামের রুবেল মিয়া নামে এক যুবক ভয়ে সুরমা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর থেকে তার সন্ধান মেলেনি। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজারে কওমী মাদ্রাসা সমর্থদের ওয়াজ মাহফিল থেকে আলিয়া মাদ্রাসার ফুলতলীর পীর সমর্থকদের একটি প্রচারণা ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়। এর জেরে সোমবার বেলা ২টার দিকে ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়মাঠে আয়োজিত কওমী সমর্থকদের ওয়াজ মাহফিলস্থল লক্ষ্য করে ফুলতলী পীরের সমর্থকরা ইটপাটকেল ছুড়েন। একপর্যায়ে উপজেলা সদরের বাস স্টেশন এলাকায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ  জানান, ছাতকের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর