শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪৫

অর্ধশতাধিক বাড়িতে হামলা, লুটপাট

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে তিন দিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলা হয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়িতে। এসব বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে, হয়েছে লুটপাট। বর্তমানে সালথার বিভিন্ন ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সহিংসতা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, সালথা উপজেলায় আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরী গ্রুপের সঙ্গে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ফলে প্রভাবশালী মহলটির হাতে আওয়ামী লীগের একটি অংশ হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়। এরই প্রতিবাদ জানাতে গত বুধবার তারা ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ‘মানববন্ধন কর্মসূচি’ আহ্বান করে। কর্মসূচিতে আসার পথে হামলার শিকার হন একপক্ষের ১০ জন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। ওই সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। আহত হন ১৫ জন। প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন চলাকালে আওয়ামী লীগের নির্যাতিত গ্রুপটি আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরীর তীব্র সমালোচনা করে। তারা বাবলুকে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার অনুরোধ জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবলু চৌধুরীর গ্রুপটি ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ওপর গতকাল গট্রি ইউনিয়নের রহমান গট্রি, মেম্বার গট্রি, জয়ঝাপ, সিংহপ্রতাব গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। হামলায় গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তেলী সালথা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান মাতুব্বর ও আরেক নেতা সাহিদ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ সাহিদ মাতুব্বর, তার সমর্থক ইছাহাক খাঁ, খাজা ফকির মোল্লা ও চুন্নু মাতুব্বরের বাড়িসহ ১০টি বাড়ি ভাঙচুর করে। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাটও চালানো হয়। গুরুতর আহত আলম মৃধা, দাউদ মৃধা, কোবাদ খালাসী, সুমন মাতুব্বর, সুরুজ খালাসী, মিরাজ শিকদার, সুজাত বেপারি ও রুহুল মুন্সীকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এবং কামাল মৃধা, সুজাত খালাসী ও বাছের মোল্লাকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ জেলা রিজার্ভ পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে সালথা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর