রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বয়স্ক ভাতা তুলতে বৃদ্ধদের দুর্ভোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাংক থেকে বয়স্ক ভাতা তুলতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধরা। ৬৫-৭০ বয়সীদের ভাতা নেওয়ার জন্য সিঁড়ি বেয়ে ওঠতে হচ্ছে ছয়তলা পর্যন্ত। লিফট্ থাকলেও এর ব্যবহার না জানায় সিঁড়ি ভেঙে ছয়তলায় উঠতেই অনেকে হাঁপিয়ে উঠেন। এরপর দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা যায়, পৌর শহরের কুমারশীল মোড়ে বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০০৪ সালে স্থানান্তরিত হয় সোনালী ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান শাখা। এরপর দ্বিতীয় তলা থেকে সব ধরনের ভাতা প্রদান করা হতো। নানা ধরনের ভাতাভোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি ওই ভবনের ছয়তলার একটি অংশে ভাতা প্রদানের জায়গা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ শাখা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া এই শাখা থেকে মুক্তিযোদ্ধা, মাতৃত্বকালীন, বিধবা, প্রতিবন্ধী, দলিত হিজড়া ও ঋষিদের ভাতা দেওয়া হয়। এ সব ভাতাভোগীর সংখ্যাও হাজার তিনেক।

ছয়তলায় ভাতা প্রদানস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভাতাভোগীর উপচেপড়া ভিড়। ভেতরে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। ভাতার অপেক্ষায় নিচ তলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত সিঁড়িতেই বসে আছেন অসংখ্য বৃদ্ধ নারী-পুরুষ। দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে অনেকে ক্লান্ত হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ভাতা পাননি। বয়স্কভাতা নিতে এসে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচ তলায় উঠে অচেতন হয়ে পড়েন জেলা সদরের রামরাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা বাসনা বেগম (৭০)। মাথায় পানি ঢালার পর চেতনা ফিরে তাঁর। অনেকে সকালে এসে দুপুরেও বই জমা করতে কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেন না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব এবং ভাতাভোগী সব একদিনে আসায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

সোনালী ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান শাখা ব্যবস্থাপক সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ভাতাভোগীদের জন্য আমরা ছয়তলা ভাড়া করেছি। সেখানে তাদের জন্য বসার জায়গাও রাখা হয়েছে। তাছাড়া কোন এলাকার ভাতা কোনদিন প্রদান করা হবে এর জন্য তারিখও নির্ধারিত করা হয়েছে। কিন্তু তারিখ না মেনে সবাই একদিনে চলে আসেন বলে ভোগান্তি পোহাতে হয়।’ শুধুমাত্র ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য আলাদাভাবে লাগানো আরেকটি লিফট্ দু-এক দিনের মধ্যেই চালু হবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর