সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

অসময়ে বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, দিশাহারা কৃষক

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন জেলায় গত তিন-চার দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অসময়ের আকস্মিক এ বৃষ্টিতে অনেক স্থানে তলিয়ে গেছে আলু, তরমুজসহ ফসলি জমি। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। কিভাবে কষ্টের ফসল রক্ষা করবেন এবং ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন এই ভেবে এখন দিশাহারা তারা। প্রতিনিধিদের খবর—

বরগুনা : পানি জমে বরগুনায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির তরমুজ গাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতির হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, তলিয়ে যাওয়া খেত মেশিন বসিয়ে সেচ দিয়ে রক্ষার শেষ চেষ্টা করেও বৃষ্টি বন্ধ না হওয়ায় ব্যর্থ হচ্ছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার বানাই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষক-কৃষানী মাঠে নেমে বালতি, থালা-বাসন, মেশিন লাগিয়ে সেচ দিয়ে খেত রক্ষার চেষ্টা করছেন। কৃষি বিভাগ জানায়, আকস্মিক বৃষ্টিতে প্রায় জমির তরমুজ তলিয়ে গেছে। পানি সরে গেলেও তরমুজ গাছ মরে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া মুগ, বাদাম, মরিচসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ভোলা : ভোলার অধিকাংশ খেতে পানি জমে যাওয়ায় আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো কোনো খেতে আলু পচে যাচ্ছে। অপুষ্ট আলু তুলে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে এই পানির আলু পাইকাররা কিনছেন না। ফলে ওই আলু নিয়ে কৃষকরা এখন দিশাহারা। জেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জানান, ভোলায় আলুর আবাদ সাধারণত কিছুটা দেরিতে হয়। এ জন্য বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জেলার চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে তরমুজ ও আলুর ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এতে আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। মুন্সীগঞ্জ : খেতে পানি জমে পচে গেছে জেলার শত শত কোটি টাকার আলু। নিস্ব হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। জেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্রুত আলু জমি থেকে তুলে আলোছায়া স্থানে রেখে সংরক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘প্রকৃতির ওপর কারো হাত নাই। আগাম বৃষ্টির কারণে দেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর মুন্সীগঞ্জের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবীর জানান, বেশকিছু এলাকার আলু এখনো তোলা হয়নি। হঠাৎ বৃষ্টিতে জমিতে পানি আটকে গেছে। দ্রুত আলু উত্তোলনের পরামর্শ দিচ্ছি। রায়পুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়নের চরের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে অনেক জমির আলু, সয়াবিনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। রায়পুর কৃষি অফিসের উপ-সহকারী (উদ্ভিদ) সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, পানি দীর্ঘ সময় থাকলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর