শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনৈতিক কাজের অভিযোগে শালিস

দোররা মারার ঘটনায় গ্রেফতার ১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে গ্রাম্য মাতবররা কথিত বিচার বসিয়ে অভিযুক্ত যুবককে ১০১ দোররা মেরেছেন এবং গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ কথিত এক বিচারককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলাহাট উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বড়ইগাছী ভাটাপাড়া গ্রামে।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ রাত প্রায় ১১টার দিকে ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ফারুক (২৩) বড়ইগাছী ভাটাপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূর ঘরে বসে ছিল। এ সময় কয়েক ব্যক্তি ওই ঘরে প্রবেশ করে এবং অনৈতিক কাজে তারা লিপ্ত ছিল এমন অভিযোগে ওই গৃহবধূকে রাতেই বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ইব্রাহীম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আবদুস সামাদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জিন্নাত ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সিহাব ধৃত ফারুকের বাবা-মার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। পরদিন ১২ মার্চ সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূর বাড়ির সামনে কথিত আদালত বসিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার কথিত প্রধান বিচারক ও তার ঘুষ গ্রহণকারী ১, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বাররা গ্রামপুলিশ মোস্তফাকে দিয়ে ওই গৃবধূকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন। এতে গৃহবধূ ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অভিযুক্ত ফারুককে মারা হয় ১০১ দোররা। এ ছাড়া গৃহবধূকে ৬ হাজার টাকা এবং অভিযুক্ত ফারুককে ২২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, ঘুষ ও অর্থদণ্ডের মোট ৪৮ হাজার টাকার সবই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন কথিত বিচারকরা। এ ঘটনায় কথিত প্রধান বিচারকসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই গৃহবধূকে পতিতা বলে উল্লেখ করেন। এদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলাহাট থানায় মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সিহাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ তত্পর রয়েছে।

সর্বশেষ খবর