শিরোনাম
সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্বাধীনতা দিবসে জেলায় জেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজন

প্রতিদিন ডেস্ক

স্বাধীনতা দিবসে জেলায় জেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজন

মেহেরপুরে শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী —বাংলাদেশ প্রতিদিন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ছিল গতকাল। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা-উপজেলায় আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য কর্মসূচির। এর মধ্যে ছিল স্বাধীনতাস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, র‌্যালি, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও বিশেষ মোনাজাত। এসব কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— গোপালগঞ্জ : কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। কুমিল্লা : সকালে কুমিল্লা টাউন হল শহীদ মিনারে ফুল দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে সকালে স্থানীয় ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সিরাজগঞ্জ : ভোরের আলো ফুটতেই ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ মিনার। একে একে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন। সকালে শামসুদ্দীন স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোররা ডিসপ্লে ও নৃত্য প্রদর্শন করে। শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। টাঙ্গাইল : শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয়। সবশেষ শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, লাঠি খেলা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোক চিত্রপ্রদর্শনী। দিনাজপুর : জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় স্বাধীনতা স্তম্ভে এবং চেহেলগাজী মাজার প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পাঞ্জলি শেষে মোনাজাত করা হয়। পরে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এ ছাড়া ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বাগেরহাট : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে মার্চ পাস্টের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট দলের সদস্যরা। নাটোর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় কানাইখালী মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। বাদ জোহর বিভিন্ন মসজিদে দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত এবং কারাগার, হাসপাতাল, এতিম খানা ও শিশুসদনে খাবার পরিবেশন করা হয়। গাইবান্ধা : ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, প্রীতি ফুটবল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা। ঝিনাইদহ : সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল কুচকাওয়াজ ও শারীরিক প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা।  সাতক্ষীরা : সকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। পরে মার্চ পাস্ট, শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রক্তদান, মুক্তিযোদ্ধাদের মাজার জিয়ারত, সাঁতার ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ র‌্যালি বের করে। পরে নিউমার্কেট চত্বরে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়। রাঙামাটি : ভোরে শহীদ মিনারে ফুল দেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে শুরু হয় কুচকাওয়াজ ও শিশু-কিশোরদের সালাম প্রদর্শনী। বেলা ১১টায় জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়।  কুড়িগ্রাম : স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে বিনম্র শ্রদ্ধায় একে একে পুষ্পার্ঘ্য করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। লক্ষ্মীপুর : কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনি শেষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে বাগবাড়ীতে গণকবরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর। মেহেরপুর : সকালে শহরের কলেজ মোড়ে স্মৃতিসৌধে একে একে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া মেহেরপুর স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোরী সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনীসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  নেত্রকোনা : বেলা ১১টায় আঞ্জুমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। বক্তারা শিক্ষার্থীদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা সাতপাই স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মোক্তারপাড়া মাঠে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। ঝালকাঠি : জেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে পুরাতন স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সংগঠন ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয় জেলা প্রশাসন।  মাগুরা : ভোরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সব মসজিদে হয় বিশেষ দোয়া। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।  লালমনিরহাট : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ছাড়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাস্ট, শরীর চর্চা, ডিসপ্লে। নীলফামারী : দিবসের শুরুতে জেলা শহরের চৌরঙ্গি মোড়ে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৮টায় নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। পরে সেখানে শারীরিক কসরত, ক্রীড়ানুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালী : শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ ছাড়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর : শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। পরে বিএনপি শহরে র‌্যালি বের করে। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, বরগুনার আমতলী, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, মাদারীপুরের কালকিনি ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। বগুড়া : জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে র‌্যালি, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এছাড়া জেলা বিএনপির আয়োজনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান নেতারা। নারায়ণগঞ্জ : শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বরে বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে ইসদাইর এলাকার পৌর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন। গাজীপুর : জাতির জনকের প্রতিকৃতি ও স্মারক ভাস্কর্যে এবং স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, দোয়া, আলোচনা সভা, র‌্যালি, ক্রীড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ধামরাই : ঢাকার ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজমাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। পরে বিকালে উপজেলা চত্বরে আয়োজন করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সর্বশেষ খবর