বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাঈদীর ঘনিষ্ঠজনের হাতে এখন নৌকা

তানভীর আহমেদ, পিরোজপুর

পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক ইউপিতে ২০০৩ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবার নৌকা প্রতীক জামায়াতের শীর্ষ নেতা ও পিরোজপুরের সাবেক এমপি এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এক সময়ের ঘনিষ্ঠজন মাস্টার ওয়ালী উল্লাহর হাতে। এমন ব্যক্তিকে ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও বিশেষ করে নৌকা প্রতীক পাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্য ও জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী একজনের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে গত শুক্রবার  মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ। এ কর্মসূচির পাল্টা  হিসেবে গতকাল চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়ালী উল্লাহর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন করেছে তার লোকজন। জানা যায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাস্টার ওয়ালী উল্লাহ।  ওয়ালী উল্লাহর বাবা মাওলানা মফিজুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্থানীয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ওয়ালী উল্লাহর চাচা মীম ফজলুর রহমান ছিলেন বৃহত্তর বরিশাল জেলার জামায়াতের আমির। তিনি ১৯৭০ সালে নাজিরপুর ও বানারীপাড়া থানার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে স্বরূপকাঠি-বানারীপাড়া আসনে জামায়াতের দলীয় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন। এরপর ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ালী উল্লাহ ও তার পরিবার জামায়াত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নাজিরপুরে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয় সাঈদী। তার নির্বাচনে পরিশ্রমের পুরস্কার স্বরূপ ২০০৩ সালে ওয়ালী উল্লাহকে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয় জামায়াত। নির্বাচনে বিজয়ী হয় ওয়ালী উল্লাহ। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মাস্টার ওয়ালী উল্লাহ জানান, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ একেবারে মিথ্যা।

সর্বশেষ খবর