শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেরপুর পল্লী বিদ্যুতে দালালের দৌরাত্ম্য

শেরপুর প্রতিনিধি

দালালরাই এখন পল্লী বিদ্যুতের হর্তাকর্তা। সারা অফিসে দালালদের দৌড়াদৌড়ি প্রতিদিনের দৃশ্য। সাধারণ মানুষ গেলে কাজ হয় না। দালাল ধরলে হয়ে যায় দ্রুত। এসব দেখে দালালের কাছেই ধরনা দেন সবাই। শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শ খানেক দালাল নিয়ন্ত্রণ করে বলে ভুক্তভোগী ও পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। জানা গেছে, বিদু্যুৎ দেওয়ার নাম করে দালালের মাধ্যমে টাকা নেন আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তি। প্রতিটি আবাসিক সংযোগে সরকারি জমা বাদে নেওয়া হয় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, আ. কাদেরের নিয়ন্ত্রণেই আছে অন্তত ৫০ দালাল। জানা গেছে— কাদেরের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের তার, ট্রান্সফরমার, টিউবঅয়েল ও সাঙ্গোপাঙ্গ দিয়ে চুরি করানোর অভিযোগে সদর থানা ও কোর্টে পাঁচটি মামলাও রয়েছে। তবে আবদুল কাদের জানিয়েছেন— রাজনৈতিক কারণে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে দায়ের করা সব মামলা ফাইনাল হয়ে গেছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। তিনি আরও জানান, ‘আমি পল্লী বিদ্যুতে কারও মনোনীত নই। লাইসেন্স না থাকলেও কাজ কিনে ঠিকাদারি করি।’ জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইগাতিতে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের ধারণা বিদ্যুতের তার ও যন্ত্রপাতি চুরি করার সময় বিদ্যুতের তারে আটকে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ইউডি মামলা করলেও ৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই সেলিম মিয়া কাদেরসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত থানাকে ১৫ দিনের মধ্যে মামলাটিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিলেও গতকাল পর্যন্ত এজাহারভুক্ত হয়নি। পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মাসরুল হক খান বলেন, কাদেরের নামে নানা অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর