শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

বোরো খেতে ‘ব্লাস্ট’ রোগ কৃষকের মাথায় হাত

৮০ শতাংশ ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বহু স্থানে বোরো ধানে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ব্লাস্ট রোগ। এর প্রভাবে গাছে ধানের শিস বের হওয়ার পরই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি গবেষকরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া ও একই জমিতে বার বার একই ফসল আবাদ এ রোগের কারণ। খুলনা বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম জানান, গত ২০ বছরের মধ্যে ব্লাস্ট রোগের এত ভয়াবহতা দেখা যায়নি। ছত্রাকবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হলে ধানের সবুজ পাতা, পাতার সংযোগস্থল ও শিসে কালো দাগের মতো হয়। এতে শিকড় থেকে গাছের উপর অংশে খাবার ও পানি চলাচল বন্ধ হয়ে ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যায়। সরেজমিনে খুলনার ডুমুরিয়া, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার কয়েকটি বিল ঘুরে দেখা যায়, ব্লাস্ট আক্রান্ত হওয়ায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে খুলনায় বোরোর বাম্পার ফলন হচ্ছে। এ বছরও ভালো ফলন হলেও ফসল ওঠার কয়েকদিন আগে ধানগাছ ‘ব্লাস্ট’ আক্রান্ত হওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে। ডুমুরিয়ার কৃষক মফিজ শেখ জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে খেতে নানা কীট ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেও সুফল মেলেনি। উল্টো প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকার ধান আক্রান্ত হচ্ছে। ডুমুরিয়া, খর্নিয়া, আড়ংঘাটাসহ আক্রান্ত জমির ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাবিহা সুলতানা বলেন, মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এবার ব্লাস্ট মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ. লতিফ জানান, খুলনায় প্রায় ৮২০ হেক্টর জমির ধান ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। এছাড়া উঠান বৈঠক, মসজিদের খুতবায় ব্লাস্ট সম্পর্কে কৃষকদের অবহিতকরন ও প্রতিকারের ব্যবস্থা জানানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর