বাগেরহাটের শরণখোলায় ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে’ ও ভবনের বাইরে শিশুদের পাঠদান চলছে। এসব অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলায় যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও নতুন ভবন নির্মাণের নেই কোনো উদ্যোগ। শরণখোলা উপজেলা শিক্ষা অফিস জানায়, উপজেলার সরকারিকরণকৃত ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টি বিদ্যালয় ভবন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে। এ স্কুলগুলো হচ্ছে পশ্চিম বানিয়াখালী, উত্তর কদমতলা, পূর্ব খোন্তাকাটা আদর্শ, বড় রাজাপুর নেছারিয়া, উত্তর রাজাপুর, বড় রাজাপুর আদর্শ, তালতলী নলবুনিয়া, উত্তর মালিয়া রাজাপুর, ছোট রাজাপুর, রাজাপুর সোনাতলা, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া, তালতলী উল্লাসী ও দক্ষিণ ধানসাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন জানান, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোয় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষকরা পাঠদান করছেন। কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকরা ভবনের বাইরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। ছাদ ও পিলার থেকে খোয়া, সুরকি খসে পড়ছে, ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। বর্ষার সময় ছাদ থেকে পানি পড়ে। স্কুলগুলোয় পাঠদানের পরিবেশ নেই। ভবনগুলোর অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে কোনো সময় ছাদ, ওয়াল বা পিলারের অংশ ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য আতঙ্কিত রয়েছেন শিক্ষক ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। নির্বিঘ্নে শিক্ষার্থীদের মাঝে যাতে শিক্ষকরা পাঠদান করতে পারেন সেজন্য নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজন। শরণখোলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আখতার হোসেন বলেন, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
