রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

গোলপাতার আড়ালে কাটা হচ্ছে সুন্দরী কাঠ, উজাড় হচ্ছে বন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনের কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ ও অতিরিক্ত গোলপাতা আহরণের অভিযোগে চারটি নৌকা আটকের পর নামমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ থেকে গোলপাতা আহরণ মৌসুম শেষের ১০ দিন পর গত বৃহস্পতিবার বন থেকে বেরিয়ে আসার সময় নৌকা চারটি আটক করা হয়েছিল। অন্যদিকে সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় শরণখোলা রেঞ্জ থেকে গোলপাতার আড়ালে সুন্দরী গাছবোঝাই করে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী মোকামে গেলে বৃহস্পতিবার বিকালে একটি নৌকা আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় নৌকায় থাকা লোকজন নৌকাটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বনকর্মী জানান, ২৮ মার্চ গোলপাতা আহরণের পাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদের ১০ দিন পার হলেও এখনো অনেক নৌকা সুন্দরবনে অবস্থান করছে। শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, একেকটি নৌকার বিএলসির ধারণ ক্ষমতা ৫০০ মণ। সুন্দরবন বিভাগ সরকারি রাজস্বও আদায় করে ৫০০ মণের। অথচ প্রত্যেক নৌকা থেকে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ২০-৩০ হাজার টাকা উেকাচ নিয়ে নৌকাপ্রতি দুই হাজার থেকে তিন হাজার মণ গোলপাতা আহরণের সুযোগ করে দেন। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সুন্দরীসহ অন্যান্য গাছ কেটে গোলপাতার আড়ালে করে নিয়ে আসেন। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। গোলপাতা আহরণকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কুপ কর্মকর্তা) আমজাদ হোসেন জানান, পারমিটের বাইরে অতিরিক্ত গোলপাতা কাটার দায়ে চার নৌকার মালিককে ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে নৌকাগুলো আটক করা হয়েছিল। কিন্তু চেক করে তাতে অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার মো. ফরিদুজ্জামান জানান, স্বরূপকাঠীতে কোস্টগার্ড সদস্যদের দেখে গোলপাতা বোঝাই একটি নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে লোকজন পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছি নৌকাটিতে বিপুল পরিমাণ সুন্দরীসহ অন্যান্য কাঠ ছিল।

সর্বশেষ খবর