সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধুনটে ৩০ মিনিটের শিলা বৃষ্টিতে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শনিবার রাত ৯টার দিকে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ভুট্টা ও আগামজাতের লাগানো বোরো ধানের এই ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন। এছাড়া ঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা অন্ধকারে ছিলেন গ্রহকরা।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ধুনট উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছে কৃষক। এছাড়া আগাম জাতের বোরো ধান চাষ হয়েছে ৮০০ হেক্টর জমিতে। শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৩০ মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এসব ফসলের কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় ৩০ হেক্টর জমির ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বগুড়ার ধুনট ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের আবু তালেব, সাঈদসহ একাধিক কৃষক জানান, আকস্মিক বয়ে যাওয়া ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এতে করে আগাম জাত হিসাবে লাগানো তাদের বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বোরো জমির ধান গাছের আগা’র ক্ষতি হয়েছে। সদ্য বের হওয়া ধানের শীষ ঝড়ো হাওয়া ও শিলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। যেসব শীষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই শীষে চিটায় পরিণত হবে। আর অধিকাংশ খেতের ভুট্টা ও  কলার ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ভুট্টা গাছের শিকড় উপড়ে পড়েছে। এতে ধীরে ধীরে খেতের এই ভুট্টা গাছগুলো মরে যাবে। ধুনট পৌর এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ ঝড়ে রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে। ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) বিজয় কুমার কুন্ড বলেন, শনিবার রাতের ঝড়ে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ভেঙে পড়ে কিছু কিছু এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। পরে দুপুরের দিকে এসব সংযোগ চালু করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাময়িকভাবে গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শনিবার রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসলের উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হবে না। তবে, কিছু এলাকায় ভুট্টা খেতের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর