সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইউপি নির্বাচন নিয়ে আ.লীগ বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

আমতলী প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ও আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার শানুর বাজারে শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের জসিম উদ্দিন মোল্লা ও বিএনপি প্রার্থী মুনসুরুল আলম নির্বাচনী সভা আহ্বান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সভা শেষে বিএনপির সভা শুরু হয়। বিএনপি প্রার্থীর সভা শেষে সমর্থকরা কড়াইবাড়িয়া বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। অপরদিকে বড়বগী ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা গ্রামের শান্তি রঞ্জনের বাড়িতে নৌকার প্রার্থী আলমগীর মিঞা আলমের উঠান বেঠক চলছিল। এ সময় তার সমর্থক আল আমিনের মোটরসাইকেল পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দিয় দুর্বৃত্তরা। আলমগীরের অভিযোগ, দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী আবুল কাশেমের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কাশেম জানান, আওয়মী লীগ প্রার্থী পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র শানুর বাজারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। তিনি আরো বলেন, বড়বগী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল পোড়ানো ঘটনা পরিকল্পিত। উল্লেখ, তালতলী পাঁচটি ইউনিয়নের নির্বাচন ১৬ এপ্রিল। সালথায় আ.লীগে সংঘাত : ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, সালথায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার নারানদিয়া গ্রামে গতকাল এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, স্থানীয় এমপি, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আয়মন আকবর বাবলুর সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলীর বিরোধ চলছে। শনিবার দিবাগত রাতে বাবলুর সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে সাব্বিরের অনুসারী আজিত শরিফের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গতকাল উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ খবর