মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

কসবায় সংঘর্ষে একজন নিহত

নগরকান্দায় ২০ বাড়িঘর ভাঙচুর, লুট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফরিদপুর প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গতকাল সংঘর্ষে একজন প্রাণ হারিয়েছে। অপরদিকে ফরিদপুরের নগরকান্দায় পৃথক এক সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছেন ৩৫ জন। ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে ২০ বাড়িঘর।  জানা গেছে, বিগত ইউপি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর সমর্থন দেওয়াকে কেন্দ্র করে কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি এলাকার হাজী জমশেদ মিয়ার গোষ্ঠী ও একই এলাকার সুজন মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আরও তিনবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সবশেষ গত ২০ মার্চ সুজন মিয়ার দলের লোকেরা অতর্কিত হামলা চালায় জমসেদ মিয়ার গোষ্ঠীর ওপর। তাদের হামলায় প্রায় ১৫টি  ঘর ভাঙচুর ও লুট হয়। এই ঘটনার জেরে গত দুদিন ধরে দুই দলই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর জেরে গতকাল সকাল ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন রামদা, দা, বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হন ১০ জন। এদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত সুজন মিয়া গোষ্ঠীর রহিজ মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রহিজ মিয়া নিমবাড়ি গ্রামের মৃত লাবু মিয়ার ছেলে। এছাড়া অন্য আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে ফরিদপুরের নগরকান্দার গহেরনামা গ্রামে ফেসবুকে প্রবাসীর স্ত্রীর ছবি আপলোড করাকে নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের ৩৫ জন। সংঘর্ষ চলাকালাকে ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গহেরনামা গ্রামের কেরামত ফকির, বালা ফকির ও মিন্টু ফকির বিদেশে থাকেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা গহেরপুর গ্রামে একই বাড়িতে বাস করেন। সম্প্রতি কেরামতের স্ত্রী লাইজুর ছবি মিন্টুর স্ত্রী মিথিলা তার ফেসবুক পেজে আপলোড করে। এ নিয়ে লাইজুর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় মিথিলা ও বালার স্ত্রী জোস্নার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে কেরামতের আত্মীয় সাবেক মেম্বর সাহেবের লোকজনের সঙ্গে বালা ও মিন্টুর আত্মীয় জামাল (সাবেক মেম্বার) সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। আহত হন ১৫ জন। এর জেরে সোমবার জামাল গ্রুপের লোক সাহেব গ্রুপের লোকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আহত হয়েছেন ২০ জন। সংঘর্ষ ও হামলার সময় সাহেব গ্রুপের ১৫ ও জামাল গ্রুপের পাঁচ বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর