বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ৯৪ জনের মধ্যে ৫৭ জনই অমুক্তিযোদ্ধা

মেহেরপুর

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৯৪ জনের একটি তালিকা পাঠিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। ওই তালিকায় ৫৭ জনের মধ্যে আছে একাত্তরে যুদ্ধশিশু, রাজাকার, জামায়াত নেতাসহ অমুক্তিযোদ্ধা। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি সম্প্রতি  মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এমন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও জেলা ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক কমান্ডার মহাসীন আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যসচিব হেমায়েত উদ্দিনের সম্পৃক্ততা আছে বলেও ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। অনুলিপি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য সদস্য, কেন্দ ীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে। যার একটি এই প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে। অভিযোগপত্রে জামুকার ৯৪ জনের মধ্যে ৫৭ জনকে অমুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার, জামায়াত, যুদ্ধশিশু বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি মুজিবনগর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। মেঘনায় তালিকা প্রকাশে অনিয়ম : দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান— কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের তালিকা প্রকাশে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়— গত ৪ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই কমিটি কাজ শেষ করে। ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও বিগত প্রায় ২ মাস ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। নির্ধারিত সময়ে তালিকা প্রকাশ না করায় বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা আপিলের সুযোগ পাননি। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়— গত ৪ এপ্রিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামাল উদ্দিন যাচাই-বাছাই কমিটির দুই সদস্যকে মেঘনায় ডেকে নিয়ে তালিকা পরিবর্তন করেছেন। তবে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামাল উদ্দিনের দাবি— তিনি কোনো অনিয়মের আশ্রয় নেননি। যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সুমন বলেন, আমার মৃত পিতা সিরাজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা হলেও তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাঘাইকান্দি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান, জলারপাড় নওয়াগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী, লক্ষণখোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. মতিনের নামও তালিকা থেকে বাদ পড়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বর্তমান যাচাই-বাছাই কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করে নতুন কমিটির মাধ্যমে মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ করেন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা।

সর্বশেষ খবর