বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘুষবাণিজ্যে অতিষ্ঠ গ্রাহক লাইসেন্স নিতে অনীহা

ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও বিআরটিএতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফলে বিআরটিএ অফিসে এসে হয়রানির শিকার হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন লাইসেন্স আগ্রহীরা। বিআরটিএ অফিসের জেলা শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, ঘুষবাণিজ্য যেন না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্নভাবে বুঝানো হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ভবনে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলার সার্কেল অফিস হিসেবে অবস্থিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস। এ অফিস সপ্তাহে শুধু রবি, সোম ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখা হয়। এ তিন দিন জেলার পাঁচ উপজেলার শত শত লাইসেন্স আগ্রহী বিভিন্ন কাজ নিয়ে অফিসে আসেন। কিন্তু কাজের বিপরীতে হয়রানির শিকার হন। দিতে হয় ঘুষ। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ সম্পন্ন হয় না বলে অভিযোগ দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাইসেন্স আগ্রহীদের। এমন বিড়ম্বনায় পরে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লাইসেন্স করতে আগ্রহী নন বলে জানান অনেকে। সদর উপজেলার বাজারপাড়া, হাজীপাড়া, জমিদারপাড়ার সবুজ, রহিম, রফিকুল, রতনসহ অনেকে জানান, বিআরটিএ লাইসেন্স প্রদানের জন্য চলতি এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ লাইসেন্স আগ্রহীদের লিখিত, ভাইভাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে অংশ নেন প্রায় ১৫০ পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষার ফলের পর ডাকা হয় মাত্র কয়েকজনকে। বাকিরা নাকি সবাই ফেল করেছেন। এতে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে বিআরটিএ ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সার্কেল অফিসের মোটরযান পরিদর্শক জয়নাল আবেদিনের যোগসাজশে লাইসেন্স আগ্রহীদের কাছে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হয়। তারা আরও জানান, টাকা দিলে কোন পরীক্ষায় পাস করতে হয় না, শুধু উপস্থিত থাকলেই চলে। বিআরটিএ ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সার্কেল অফিসের মোটরযান পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন ঘুষ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেন। সার্কেল অফিসের সহকারী পরিচালক ফারুক আলম বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি আমার কর্মকর্তাদের বুঝাতে যেন প্রকৃত লাইসেন্স আগ্রহীরা সঠিকভাবে লাইসেন্স পান।’

সর্বশেষ খবর