সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি যমুনা নদীর সংলগ্ন কাদামাটি মিশ্রিত বালু চরে কৃষি খামার গড়ে তুলে খামারে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের শাকসবজি গরীব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ধানবান্ধি মহল্লার সাবেক পৌর কমিশনার বালু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার। কৃষি খামারটি সম্প্রতি কৃষি মেলায় অংশগ্রহণ করে সুনাম কুড়িয়েছে। এ জন্য বুধবার সকালে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা খামারটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে খামারের উদ্যোক্তা আব্দুস সাত্তারকে সফল খামারী ও খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখায় সাফল্য স্বীকৃত সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেছেন। সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করেন ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আরিফুল লতিফ। এ সময় সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী, জেলা প্রশিক্ষক তাইজুল ইসলাম, কৃষকলীগের সভাপতি গোলজার হোসেন, যমুনা সততা বহুমুখী সঞ্চয় সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম মণ্ডল। পরে দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে শাকসবজি বিতরণ করা হয়। সবজি নিতে আসা হালিমা খাতুন, মাজেদা খাতুন ও আব্দুর রহিম জানান, বাজারের সবজির দাম চড়া। কেনা কষ্টকর। মাঝেই মাঝেই এখানে এসে বিনামূল্যে সবজি নিয়ে যাই। যা পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে থাকি। খামারের উদ্যোক্তা শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাবেক কমিশনার আব্দুস সাত্তার জানান, প্রায় তিনবিঘা জমিতে খামারটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে জৈব সার ব্যবহার করে খামারটিতে টমোটা, লাল শাক, কপি, পুই শাক ও লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। উৎপাদিত সবজিগুলো প্রতিদিন সকালে দুস্থ-গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।