বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

হাওর অঞ্চলকে দুর্গত ঘোষণার দাবি

কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

আগাম বন্যা কবলিত কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে স্থানীয় এমপি, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, সচেতন ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন। কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, জেলার ছোটবড় ৩৫টি হাওরের ৩৩ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকের কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে। একদিকে ফসল তলিয়ে যাওয়া, অন্যদিকে ব্যাংক, এনজিও, মহাজনি ঋণসহ সকল প্রকার ঋণের বোঝা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা শরণার্থীর মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইটনা, মিঠাইন ও অষ্টগ্রাম এই তিন উপজেলার কৃষকের ঘরে কোনো ফসল নেই। অকাল বন্যায় গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় হাওর অঞ্চলকে দুর্গত ঘোষণা দিয়ে নতুন করে ঋণ, আগের ঋণের সুদ মওকুফ, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং কৃষি ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চলকে দুর্গত ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে খালিয়াজুরীর সচেতন ছাত্র সমাজ। এ সময় অসাধু ঠিকাদার ও পাউবোর কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, খারিয়াজুরী উপজেলায় ২৫ হাজার ২৫৭ কৃষকের মধ্যে ২৪ হাজার ১৫৫ জনই কার্ডধারী ক্ষতিগ্রস্ত। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির মধ্যে ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর পানির নিচে। এ সব কৃষকের ঋণ মওকুফসহ তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির ব্যানারে হাজারো কৃষক নেত্রকোনার সীমান্ত মোহনগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের সীমান্ত ধর্মপাশার সংযোগস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তাদের দাবি, হাওর-কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচবে।

সর্বশেষ খবর