বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সালথায় আওয়ামী লীগে সংঘর্ষ ভাঙচুর আগুন, আহত ৫০

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় গতকাল আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রামকান্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের বাড়ি। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ আট রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরী গ্রুপের সঙ্গে সালথা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সবশেষ সোমবার রাতে সালথা বাজারে সাব্বিরের সমর্থকদের সঙ্গে বাবলুর লোক হিসেবে পরিচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। উভয় গ্রুপে রাতভর চলে উত্তেজনা। মঙ্গলবার সালথা বাজার ও মদনদিয়ায় দুই গ্রুপের কয়েক হাজার সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে সংঘাত। এ সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে আগুন দেয় প্রতিপক্ষ। এতে কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। এছাড়া উভয় পক্ষের ৪০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ-র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, ‘বাবলু চৌধুরীর মদদে আলতাফের সমর্থকরা আমাদের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ আলতাফের ভাষ্য, ‘সাব্বির ও তার সমর্থকরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। সালথা থানার ওসি জানান, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর