বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

জয়পুরহাটের চার নদীতে চাষবাস

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের চার নদীতে চাষবাস

জয়পুরহাটে ছোট যমুনা নদীতে চাষ হচ্ছে বোরো ধান

জয়পুরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চারটি নদী নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীগুলোতে এখন চাষ হচ্ছে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল। নদীর অনেক অংশই আবার দখল করে নিয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও নদীগুলো সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি বলে মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। ছোট যমুনা, তুলসীগঙ্গা, হারাবতি ও চিরি এ চার নদী ভারতীয় সীমানায় উত্পত্তি হয়ে বিভিন্ন এলাকা দিয়ে জয়পুরহাটে প্রবেশ করেছে। ৩০-৩৫ বছর আগেও সারা বছর নদীগুলোতে থাকত থৈ থৈ পানি। সড়ক পথের চেয়ে নদীপথ ব্যবহৃত হতো বেশি। পার্শ্ববর্তী জেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল এই নদী। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে আসা পলি জমে এবং খনন না করায় এগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এই মরা নদী আবার দুঃখের কারণ হচ্ছে বর্ষায়। এ সময় উজান থেকে আসা ঢল নামতে পারে না ভাটিতে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে নদীর পানি দুই কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। প্রতি বছর অস্বাভাবিক বন্যায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন হাজার হাজার মানুষ। জেলা ত্রাণ ও কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জয়পুরহাটে অকাল বন্যায় প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। সেই হিসাবে গত ১০ বছরে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সোহেল জানান, জয়পুরহাটের নদীগুলো অনেক আগেই সংস্কার করা উচিত ছিল। দ্রুত বেদখল হওয়া নদী উদ্ধার এবং নদী খননের দাবি জানান তিনি। জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু মোহাম্মদ সেলিম জানান, প্রতি অর্থবছরে জেলার নদীগুলো খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়। সরকার ও দাতা সংস্থার টানাপড়েনের কারণে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর