শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

হবিগঞ্জে ৬৪ অটো রাইস মিল বন্ধ, বেকার ১০ হাজার শ্রমিক

হাওরের বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার প্রভাব

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

অকাল বন্যায় হবিগঞ্জের প্রায় ৫২ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার সাত উপজেলার লক্ষাধিক পরিবার। বোরো নষ্ট হওয়ায় ভরা মৌসুমে বন্ধ রয়েছে জেলার ৬৪টি অটো রাইস মিল। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন এসব মিলে কাজ করতেন অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক। জানা যায়, হবিগঞ্জের শিল্প এলাকা হিসেবে খ্যাত উমেদনগরেই রয়েছে ২৬টি অটো রাইস মিল। এখানকার সুরমা অটো মিলে প্রতিদিন তিন হাজার ২০০ মণ ধান থেকে চাল করা হতো। মাঝারি মানের অটো রাইস মিল আতিয়া সাজ্জাদ মিলে দিনে ভাঙা হতো দুই হাজার ৫০০ মণ ধান। আতিয়া সাজ্জাদে প্রতিদিন ৫৬ জন শ্রমিক এবং আর সুরমা অটো রাইসে কাজ করতেন দেড় শতাধিক। তা ছাড়া সমুর্তা অটো রাইস মিলে কর্মরত ছিলেন শতাধিক শ্রমিক। চলতি মৌসুমে এসব মিলের কোনোটা এক দিনের জন্যও চালু করা সম্ভব হয়নি। একই অবস্থা জেলার ৬৪টি অটো রাইস মিলের। অটো রাইস মিল চালু না থাকায় কয়লার মিলগুলোও বন্ধ রাখতে হয়েছে।  অটো রাইস মিল, কয়লার মিল বন্ধ থাকায় শিল্প এলাকার সঙ্গে জড়িত মৌসুমি শ্রমজীবী নারী-পুরুষ খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। রাখাল দে নামে এক শ্রমিক জানান, পাঁচ সদস্যের সংসারে ইতিমধ্যে ঋণ করে চাল নিতে হচ্ছে। বাকি দিনগুলো কীভাবে যাবে উপর ওয়ালাই জানেন। আতিয়া সাজ্জাদ অটো রাইস মিলের মালিক আবদুর রশিদ খান জানান, এক তোলা ধানও মিলে তোলা সম্ভব হয়নি। মিল চালু করতে প্রতিদিন দুই হাজার ৫০০ মণ ধান দরকার। মিলের সামনে শ্রমিকরা এসে ভিড় করেন। তাদের কাজ দিতে পারি না। সরেজমিন দেখা যায়, মিলগুলোর অধিকাংশে তালা। নেই শ্রমিকের আনাগোনা। ধান নিয়েও কেউ আসছেন না। আনাচে কানাচে পড়ে আছে মিলে ব্যবহারের জন্য আনা জিনিসপত্র।

সর্বশেষ খবর