বুধবার, ১০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

অর্ধশতাব্দীর প্রাচীন বিদ্যালয় বিলীন হচ্ছে তিস্তায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

অর্ধশতাব্দীর প্রাচীন বিদ্যালয় বিলীন হচ্ছে তিস্তায়

তিস্তার ভাঙনের মুখে গঙ্গাচড়া উপজেলার পাইকান জুম্মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

আর মাত্র ১৫ হাত জায়গা ভাঙলেই তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে ৫২ বছরের পুরনো পাইকান জুম্মাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ তিস্তার পেটে চলে গেছে। বালুর বস্তা ফেলে বিদ্যালয় রক্ষার চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হবে কি না—তা নিয়ে সংশয়ে দিন কাটছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের গঙ্গাচড়া আলমবিদিতর ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী পাইকান জুম্মাপাড়া এলাকায় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পাইকান জুম্মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৪ সালে পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৩৫ জন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, এক সময় বিদ্যালয়টি নদী থেকে অনেক দূরে ছিল। নদীটি ভাঙতে ভাঙতে গত মার্চ মাসে বিদ্যালয়ের একদম কিনারে এসে ঠেকেছে। বিদ্যালয়ের মাঠ তিস্তায় চলে গেছে। বর্তমানে মাত্র ১৫ হাত ভাঙলেই বিদ্যালয়টি তিস্তায় বিলীন হয়ে যাবে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনোয়ারা বেগম ও ছাইদুল হক, চতুর্থ শ্রেণির আফসানা মিমি, রুবেল মিয়া বলে, ‘পানির ঢেউ যখন জোরে ধাক্কা মারে তখন স্কুল ঘর কাঁপি ওঠে। তখন সবাই স্কুলের বাইরে চলি যাই।’ প্রধান শিক্ষক বদরুল হাসান বলেন, ‘যেভাবে নদী ভাঙছে, তাতে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হবে কি না বলা মুশকিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস কোনো রকমে নেওয়া হয়। ভাঙনের ভয়ে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে না। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’  আলমবিদিতর ইউপি চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান জানান, ক্লাস করতে এসে প্রতি মুহূর্তে শিশুদের নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি প্রচণ্ড হুমকির মুখে রয়েছে। তবে নদীভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য স্থানীয় এমপির নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড এরই মধ্যে বালুর বস্তা ফেলেছে।

সর্বশেষ খবর