শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

উদ্বোধনের দুই বছর পরও শুরু হয়নি কার্যক্রম

শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’-এর ভিত্তিফলক উদ্বোধনের দুবছর পরও শুরু হয়নি কার্যক্রম। জানা যায়, জমিদারী দেখাশোনা করতে কবি ১৮৯০ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার শহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে এসেছেন। এখানে বসে লিখেছেন অনেক কবিতা, গল্প-উপন্যাস ছোটগল্প। কবির স্মৃতি ধরে রাখতে শাহজাদপুরে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা করা হয়। এর দুবছর পর কবিগুরুর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শাহজাদপুর হাইস্কুল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি গত বছর সংসদে পাস হওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ ও একনেকের বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু  হয়নি। কবিগুরুর চলে যাওয়ার আগে শাহজাদপুরে পোতাজিয়ায় ১ হাজার ৪০০ একর জমি রেখে যান। বর্তমানে খাস জমি হিসেবে খামারিদের লিজ দেওয়া হয়েছে। এই জমি থেকে ১০০ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভিসি-পিডি নিয়োগ না হওয়ায় এখনো জমি হস্তান্তর হয়নি। ফলে শাহজাদপুর হাইস্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনকৃত ভিত্তিফলকটিও নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করা হয়নি। রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর নাসির উদ্দিন মালিথা জানান, পরপর দুটি শিক্ষা সেশন চলে গেলো কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় আমরা শাহজাদপুরবাসী হতাশ। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সেক্ষেত্রে বিল্ডিং বা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা যায়। এই গবেষকের মতে, সরকার ইচ্ছা করলে চলতি বছরই ভিসি-পিডি নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারেন। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুন রাজীব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রেখে যাওয়া জমি থেকে ১০০ একর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভিসি বা পিডি নিয়োগ দেওয়া হলে তাদের কাছে জমি হস্তান্তর করা হবে। সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন জানান, একনেকে প্রকল্পটি পাস হয়েছে। তিনমাসের মধ্যে যে কোনো সময় কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ.টি ইমাম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসবে বলেন, প্রকল্পটির কাজ শুরু করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিসি-পিডি নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর