শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

নরসিংদীতে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত ১৫

পুলিশের এক সদস্য অপহৃত

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তিন পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ ব্যক্তিকে আটক করেছে। গ্রামবাসীরা এক পুলিশ সদস্য অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসিবুল আলম। রায়পুরা থানা পুলিশ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গেলে গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহেদ সরকার সমর্থিত গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনার পর এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে নদী ও সড়কপথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সরকার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ৮ মে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী টেঁটা ও বন্ধুকযুদ্ধে দুজন নিহত হন। এ ছাড়া কয়েক মাস সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতজনের প্রাণ যায়। আহত হন কমপক্ষে দুই শতাধিক। নিহত পাঁচজন শাহেদ সরকারের সমর্থক। অপর দুজন সিরাজুল হকের সমর্থক। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করে।  রায়পুরা থানা পুলিশ ওই মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে অভিযান চালায়। ওই সময় পুলিশ শাহেদ সমর্থক রুপু মেম্বার ও আজিম মিয়াসহ চারজনকে আটক করে। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তখন উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। জনতার হাতে ধৃত পুলিশের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর এক পুলিশ সদস্যকে উদ্ধারে অভিযান চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকার। কিন্তু নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর পছন্দের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সিরাজুল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়।

সর্বশেষ খবর