মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল চাঁনপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। গতকাল সকালে চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগরকান্দি গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—সওদাগরকান্দি গ্রামের মৃত রহিম ধরের ছেলে আ. কাদির (৪২) ও একই এলাকার মৃত অলফত আলীর ছেলে ভুট্টু মিয়া (৫০)। আহতদের নরসিংদী ও নবীনগর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন নরসিংদীর চাঁনপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল সওদাগরকান্দি গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল্লাবাড়ি ও খান্নাবাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। প্রায় এক বছর আগে খান্নাবাড়ির সামসু হাজীর ছেলে খোরশেদকে (৩৫) ধরে নিয়ে আবদুল্লাবাড়ির লোকেরা হাত-পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে আহত করে। এতে খোরশেদ চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কবীর মিয়াসহ ২৫/৩০ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলায় রায়পুরা থানা পুলিশ আদালতে চার্জশিটও দেয়। কয়েকদিন আগে কুয়েত প্রবাসী লিয়াকত মিয়া দেশে ফিরলে উভয়পক্ষের মধ্যে আপস মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টায় সওদাগরকান্দি নদীর পারে উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য বসেন। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পূর্বশত্রুতার জের ধরে খান্নাবাড়ির কবীরের নেতৃত্বে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সামসু হাজীর লোকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে সামসু হাজীর সমর্থক আ. কাদির বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতদের মধ্যে নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর ভুট্টু মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত আরও ২০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রায়পুরা থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এলাকার দুটি গ্রুপ শালিস দরবারে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর