শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত ৩, আটক ১১

নাটোর প্রতিনিধি

পূর্ব বিরোধের জেরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার-কাজীপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন তিনজন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে থেমে থেমে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতা-কর্মীকে আটক এবং আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন রামশার-কাজীপুর গ্রামের মৃত জেহের আলীর ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শাহ (৫৫) ও তার ভাই  যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহিন শাহ (৩৪) এবং মৃত আব্বাস আলী শাহ’র ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান আলী শাহ (৩৬)। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, একটি পারিবারিক বিষয় নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এসএম ফিরোজ ও তার ভাতিজা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের ঝগড়া-বিবাদ, মারপিট ও  মামলা মোকদ্দমা লেগেই থাকে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রামশার-কাজীপুর বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে আসাদ সমর্থকরা ফিরোজ সমর্থক শাজাহান আলী শাহকে বেদম মারপিট করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে  ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা । এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় সাহাবুদ্দিন শাহ, শাজাহান আলী শাহ ও ডা, শাহিন শাহ আহত হন এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ফিরোজ সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করলে আসাদ সমর্থকরা বাড়ির ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফটিক শাহসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর