সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে বাদীর অভিযোগ

ভোলায় ধর্ষণ মামলা নিয়ে বাণিজ্য

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার লালমোহনে ধর্ষণ মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। উল্টো মীমাংসার নামে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ বাণিজ্যে নেমেছে। মামলা নিষ্পত্তির নামে আসামিপক্ষের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা তোলা হয়েছে বলে ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ। গতকাল দুপুরে ভোলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভিকটিমের মা এবং চাচা। লিখিত বক্তব্যে ধর্ষিতার চাচা বলেন, লালমোহন উপজেলার ফরাশগঞ্জ ইউনিয়নের পেশকারহাট গ্রামের কাঞ্চু বলীর ছেলে  মোটরসাইকেল চালক মো. নুরুন নবী প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ১০ মে বিকালে ভিকটিমকে বেড়াতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর একটি সুপারি বাগানে নিয়ে নুরুন নবী এবং তার বন্ধু নয়ন ও বেল্লাল পাশবিক নির্যাতন করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আলম স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলে ভিকটিম ও তার মাকে তিন দিন একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিম ও তার মাকে বন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ ভিকটিমের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও টিপসই রেখে দেয়। পরে এ ঘটনায় মূল তিনজনসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। তবে ওই মামলায় তিন দিন আটকে রাখার বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে আলম মেম্বারসহ আরও কয়েকজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে বাদী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। বাদীর অভিযোগ, দেড় মাসেও পুলিশ কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ সবাই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে।

অন্যথায় গ্রামছাড়া করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি মেম্বার মো. আলম সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা শুনেছেন। তবে এসবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।  লালমোহন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী মামলা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর