শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতায় নাকাল পাবনা পৌর এলাকার ৫০ হাজার মানুষ

পাবনা প্রতিনিধি

জলাবদ্ধতায় নাকাল পাবনা পৌর এলাকার ৫০ হাজার মানুষ

পাবনা পৌর এলাকার জলমগ্ন একটি সড়ক। গতকাল তোলা ছবি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দুই দিনের টানা বর্ষণে পাবনা শহরের নিউমার্কেট, পাবনা কলেজ গলি ও দই বাজার মোড়সহ পৌর এলাকার বেশকিছু জায়গায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শালগাড়িয়াসহ কয়েকটি মহল্লার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। কয়েক বছর ধরে সামান্য বৃষ্টিতে পাবনা পৌরশহরে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথাব্যথা।

এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে নানা পানিবাহিত রোগ। অনেক এলাকায় চাপকল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই চরম দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি চান পৌরবাসী।

পৌরবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া ড্রেনগুলোর মুখ ইছামতী নদীতে ছিল। নদীটি দখল ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নালার মুখগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়াই পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক, পাড়া-মহল্লায় দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা থাকছে।

নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ বলেন, ‘বর্ষার মৌসুম এলেই আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতা আসেন না। ফলে বেচা-কেনাও কম হয়। নিউমার্কেটের সামনের রাস্তাটি পিচঢালা পথ না মাটির রাস্তা এখন বোঝা মুশকিল। পৌর মেয়র প্রতি বছর শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কাজটি করছেন। নাগরিক সুবিধার বিষয়টি তার মাথায় নেই।’ শিবরামপুর মহল্লার কাপড় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘একটু বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট ডুবে যায়। আমরা আসলে শহরে না গ্রামে বাস করি বুঝতে পারি না। চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়।’

পাবনা শিল্প ও বণিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব-উল আলম মুকুল বলেন, ‘এই শহরে পৌর মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা ব্যবসায়ীরা জলাবদ্ধতা আর রাস্তা সংস্কারের জন্য অনেকবার মেয়রকে বলেছি, কিন্তু কোনো সমাধান নেই।’ একই অভিযোগ করেন শালগারিয়া মহল্লার হাফিজ রতন, নিউমার্কেটের কসমেটিক ব্যবসায়ী দোলন আজীজসহ অনেকে।

পাবনা পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এখানে আমার কী করণীয় থাকতে পারে। একদিকে সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। অপরদিকে সারা দেশের ন্যায় পাবনায়ও ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। তারপরও আমি প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বলেছি পানি প্রবাহের জায়গা এবং ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখতে। যেন পানি দ্রুত বের হয়ে যায়।’

সর্বশেষ খবর