শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘গাঙ্গের স্রোত বসতভিটা জমি গিলা খায়, রাতে ঘুম আসে না’

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

‘গাঙ্গের স্রোত বসতভিটা জমি গিলা খায়, রাতে ঘুম আসে না’

ফরিদপুরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন ও চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক, চরভদ্রাসন সদর উপজেলায় পদ্মার ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হলেও গত কয়েকদিনে এর তীব্রতা বেড়েছে। এ সময় ভাঙনে বেশকিছু পরিবার বসতভিটা হারিয়েছেন। তা ছাড়া নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েক হেক্টর ফসলি জমি। ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় নদীপাড়ের হাজারো মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, বিগত দিনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নদীভাঙন রোধে কয়েকশ কোটি টাকার কাজ করেছেন। ফলে নদী আর আগের মতো ভাঙছে না। তবে এ বছর কয়েকটি স্থানে ডুবো চর থাকায় পদ্মার স্বাভাবিক স্রোত গতি হারিয়ে তীব্র বেগে পাড়ে আঘাত হানছে। ফলে ভাঙন শুরু হয়েছে। ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মুন্সিরডাঙ্গী এলাকায় শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মৃধাডাঙ্গীতে ও ছাত্তার বিশ্বাসের ডাঙ্গীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অনেকে। ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিদিন। এ ছাড়া চরভদ্রাসন, হাজীগঞ্জ, ভাঙ্গা, সদরপুর থানার বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন তীব্রতর হয়েছে। কিছু স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিলেও তা সামান্য বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ডিক্রিরচর এলাকার বাসিন্দা কৃষক ইউসুফ ফকির (৭০) বলেন, গাঙ্গের স্রোত খালি বসতভিটা, জমি গিলা খায়, রাতে ঘুম আসে না। সরকারের কাছে দাবি ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার। আইজুদ্দিন মুন্সিরডাঙ্গী বাসিন্দা খোদেজা বেগম (৬০) বলেন, আমগো বাড়ি দেহেন ভাঙতেছে গাঙ্গে। গলার কাছে নদী আইসা পড়ছে কখন জানি গলা টিইপা ধরে, একটা কিছু করেন।  ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি জহিরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার অংশে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে ফরিদপুর জেলার কয়েকটি থানায় জরুরিভাবে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর