বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

শৈলকুপায় গ্রেফতার এড়াতে বাড়িছাড়া বহু গ্রাহক

এনজিরও কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

এনজির  কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৬০ জন দরিদ্র নারীর নামে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। অনেকে গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীরা জানান, শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া, গোকুলনগর, কদমতলা, তামিনগর, ব্রাহিমপুর মোল্লাপাড়া, বাহাদুরপুর, দুধসরসহ কয়েকটি গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ ক্ষদ্র ঋণ নেন সোসিও ইকোনমিক হেলথ এডুকেশন অর্গানাইজেশন (সিও) থেকে। সংসার চালিয়ে অনেকে ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হন। সমিতির কর্মী ও ম্যানেজারের কাছে তারা সময় চেয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ৮ জুন সংস্থারটির মনিটরিং অফিসার গোলজার হোসেন ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনিরুজ্জামানের আদালতে মামলা করেন। আদালত থেকে তাদের কোনো নোটিস না পাঠানোয় মামলার বিষয়ে হতদরিদ্র মানুষগুলো অবগত নন। রবিবার শৈলকুপা থানা পুলিশ উমেদপুর, মিজাপুর ও দুধসর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২২ নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে অন্যরা ভয়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার আদালতে জামিন নিতে আসা ব্রাহীমপুর গ্রামের আয়শা জানান, ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সুদের ২ হাজার ৭০০ টাকা পরিশোধ করা হয়নি বলে তার নামে মামলা হয়েছে। অনেকের টাকা পরিশোধ হওয়ার পর তাদেরকেও হয়রানি করার জন্য আসামি করা হয়েছে। লক্ষণদিয়া গ্রামের রিজিয়া ও রেহেনা অভিযোগ করেন, তারা আদালত থেকে নোটিস পাননি। তারপরও তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শৈলকূপা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন জানান, এভাবে মামলা করা ঠিক হয়নি। তাদের সময় দেওয়া উচিত ছিল। শৈলকূপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, আদালতের পরোয়ানা পাওয়ার পর ২২ নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সিওর নির্বাহী পরিচালক সামছুল ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতাদের কাছে কর্মীরা বারবার তাগিদ দিয়েও টাকা আদায় করতে পারেনি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

সর্বশেষ খবর