শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

চৌহালীর তীররক্ষা বাঁধে ধস ভাঙন চাঁপাইনবাবগঞ্জে

প্রতিদিন ডেস্ক

চৌহালীর তীররক্ষা বাঁধে ধস ভাঙন চাঁপাইনবাবগঞ্জে

ভাঙছে চৌহালীর শত কোটি টাকার বাঁধ (বাঁয়ে), চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ফসলি জমি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের উত্তরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি নামা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদী তীররক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যাপক ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— সিরাজগঞ্জ : যমুনার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদী তীর রক্ষা বাঁধে ফের ধস নেমেছে। এ নিয়ে সাত কিলোমিটার বাঁধের আটটি পয়েন্টে আটবার ধসে প্রায় ৫০০ মিটার বিলীন হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বেলা ১১টায় খাসকাউলিয়া পয়েন্টে ভাঙনে বাঁধের ৬০ মিটার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু করেছে। আতঙ্কে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। এসব পরিবার খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা। আতঙ্কে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থায় চৌহালীবাসী নদীভাঙন রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান,  পানির নিচে বাঁধের লাঞ্চিং পয়েন্ট থেকে অন্তত ১৭ মিটার পানির গভীরতা বেশি হয়ে গেছে। যে কারণে ব্লকগুলো নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। এ কারণে ধস দেখা দিচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই। তার পরেও জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : দুই সপ্তাহে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িসহ কয়েকশ একর ফসলি জমি পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি, জমিজায়গাসহ সর্বস্ব হারিয়েছে ওই গ্রামের ৯০টি পরিবার। চরম হুমকিতে রয়েছে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি, চাকপাড়া, মালবাগডাঙ্গা, ফাটাপড়া, সোনাপট্টি, কাইড়াপাড়া গ্রাম। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। রোডপাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলাম জানান, দুই সপ্তাহে ৭টি বাড়ি নদীতে নেমে যাওয়ায় তারা এখন ফাটাপাড়া গ্রামে অন্যের জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করছেন। নিজেদের জমি হারিয়ে এখন নিঃস্ব তারা। চাকপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই নদী ভাঙছে। বগুড়া : বন্যা কবলিত তিন উপজেলায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। লোকজন নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যমুনায় বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, গতকাল যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিদিনই পানি কমছে।

সর্বশেষ খবর