রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফেনীতে বাঁধের ১১ পয়েন্টে ধস, ২৫ গ্রাম প্লাবিত

ফেনী প্রতিনিধি

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি পয়েন্টে বাঁধ ধসে ফুলগাজী, পরশুরাম উপজেলার ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল বন্ধ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত সম্ভব নয় বলে জানা গেছে। কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী-১ আসনের এমপি শিরিন আক্তার ও জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়। জানা যায়, চার দিনের টানা বর্ষণে ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গতকাল ৩৮ সে.মি, নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এসব নদীর ছয়টি পয়েন্টে বাঁধ ভাঙে। শুক্রবার রাতে নতুন করে আরো পাঁচ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ২৫ গ্রাম তলিয়ে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ভেসে গেছে এ সব এলাকার কয়েকশ মাছের খামার ও পুকুর। নষ্ট হয়েছে আমন বীজতলা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কহিনুর আলম জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল বন্ধ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয়। সিলেটে পানি কমলেও বাড়ছে দুর্ভোগ : নিজস্ব প্রতিবেদক-সিলেট জানান, জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি। পানি কমলেও বেড়েই চলছে জনদুর্ভোগ। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।

এছাড়া রাস্তাঘাট ভেঙে যান ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বন্যাকবলিত নিম্ন আয়ের মানুষের। সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে বন্যা দেখা দেয়। এতে ৫৫টি ইউনিয়নের ৪৬৬টি গ্রামের ৩২ হাজার ৮৪৭টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। গত মার্চ মাসের বন্যায় কৃষকরা বোরো ফসল হারানোর পর নতুন স্বপ্ন নিয়ে চাষ করেছিলেন আউশ। কিন্তু চলতি বন্যায় আউশ ধানও হারিয়েছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর আউশের ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দুর্গত এলাকার ১৮৫টি প্রাথমিক ও ২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এসব স্কুলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেওয়াও সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর