বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

টানা বৃষ্টিতে বগুড়া কুষ্টিয়ায় ১৩০ কি.মি. সড়ক নষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিতে বগুড়া কুষ্টিয়ায় ১৩০ কি.মি. সড়ক নষ্ট

খানাখন্দে ভরা বগুড়া (বাঁয়ে) ও কুষ্টিয়ার সড়ক —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বগুড়া ও কুষ্টিয়ায় ১৩০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় অংখ্য গর্ত। ঝুঁকিপূর্ণ এ সব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সঙ্গে যাত্রী ভোগান্তি তো রয়েছেই। এছাড়া খানাখন্দে যানবাহন আটকে কখনো বিকল হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

বগুড়ার শুরু সীমানা সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে শেষ সীমানা গাইবান্ধার কাছে রহবল পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে উত্তরের ১০ জেলার যান চলাচল করে। ব্যস্ত এ সড়কে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে শত শত ছোটবড় গর্ত। এসব গর্তের কোনটি পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। সড়ক ও জনপদে (সওজ) সংস্কার কার্যক্রম চালু থাকলেও তা টিকছে না। সামান্য বৃষ্টিতেই মহাসড়ক জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে ছোটবড় গর্তের। এ সব গর্তে পানি জমে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এ মহাসড়ক।

শাজাহানপুর উপজেলার ট্রাক ও বাস চালক সাইদ, মুরাদ, রাজুসহ অনেকে জানান, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এ এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এর অন্যতম কারণ মহাসড়কের নাকাল অবস্থা। বগুড়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, একটি প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছেন। বর্ষা শেষ হলে কাজ শুরু হবে। আপাতত ইট-পাথর দিয়ে গর্তগুলো ভরাটের চেষ্টা করছি।

এদিকে কুষ্টিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের মাত্র কদিনের বৃষ্টিতে ৫০ কিলোমিটার বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ দুটি সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যান চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়ক বিভাগের হিসেবে দুই সড়কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এ সড়ক সংস্কারের নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগও আছে। জানা যায়, উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের ৩২ জেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ এই মহাসড়ক। সড়ক বিভাগের হিসাব মতে এই মহাসড়কে প্রতিদিন ১১ হাজারেও বেশি যান চলাচল করে। কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক কুষ্টিয়া অংশ ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক জুড়ে শুধু বড় বড় গর্ত। বিশেষ করে কুষ্টিয়া শহরের বারখাদা ত্রিমহোনী থেকে ভেড়ামারা ১১ মাইল পর্যন্ত এবং শহরের মজমপুর গেট থেকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব এলাকায় সড়কের বেশিরভাগ কার্পেটিং উঠে গেছে। বড় গর্তগুলোতে ইট বালু ফেললেও ছোটগুলো সেভাবেই থেকে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, ‘টেন্ডার হয়, কাজ হয় কিন্তু সড়কের চেহারার পরিবর্তন হয় না।’ কুষ্টিয়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, অতি বৃষ্টিতে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্কার কাজ চলছে। আবহাওয়া ভালো হলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

সর্বশেষ খবর