কুষ্টিয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে একটি রাজকীয় বাল্যবিয়ে পণ্ড হয়ে গেছে। এতে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মোহনা আক্তার কোহেলী (১২)। এ ঘটনায় মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন মেয়ের বাবা। গতকাল কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া দর্গাপাড়ায় এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মহিদুল ইসলামের মেয়ে মোহনা আক্তার কোহেলী স্থানীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বাবা হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী জুগিয়া আদর্শপাড়ার নাসির উদ্দিনের ছেলে পারভেজ আহমেদের (৩২) সঙ্গে কোহেলীর বিয়ে ঠিক করেন। প্রতিবেশীরা এত অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিতে বারণ করলেও মহিদুল তাতে পাত্তা দেননি। বরং তিনি মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজন সম্পন্ন করেন।
জানা গেছে, তিনি প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন লোককে দাওয়াত করেন এ বিয়ে উপলক্ষে। এই তালিকায় কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ এলিট শ্রেণির অনেকেই ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভোজের জন্য জবাই করা হয় ১০টি ছাগল ও ৩টি গরু। খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনেন। পরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে হাজির হন মহিদুলের বাড়ি। এ সময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে মহিদুলের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। পরে অবশ্য নতিস্বীকার করেন মহিদুল। তিনি ওই বিয়ে বন্ধ করে লিখিত মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান। এ অবস্থায় সেখানে উপস্থিত কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র না খেয়ে বাড়ি ফিরে যান।