সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএনপি প্রার্থীকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হয়রানি!

বাগমারা দক্ষিণ ইউপি নির্বাচন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় একটি ইউপির উপনির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিএনপির প্রার্থীকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী মানিক মিয়ার স্ত্রী পিপাসা আক্তার। মানিক সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের বলিপদুয়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি।

সূত্র জানায়, গত ২৮ জুন নির্বাচন কমিশন বাগমারা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিল ও ২০ আগস্ট ভোটগ্রহণের তারিখ। ১১ জুলাই যুবদল নেতা মানিক মিয়াকে (৩৫) দলীয় মনোনয়ন দেয় বিএনপি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন রাতে পুলিশ মানিককে তার বলিপদুয়ার বাড়ি থেকে ধরে এনে থানায় বেধড়ক মারধর করে। একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতে পাঠায়। মানিকের আইনজীবী আবদুল মোতালেব জানান, ‘মানিক কারাগারে আছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তার মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরের জন্য ২০ জুলাই আবেদন দাখিল করি কিন্তু তা ফেরত পাওয়া যায়নি।’ পিপাসা জানান, ‘আমার স্বামী নির্দোষ, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। বিএনপির রাজনীতি করায় এবং সরকার দলের প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে হাজতে পাঠিয়েছে। প্রশাসন তার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করানোর বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে।’ সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুল মালেক ও বিএনপির মানিক মিয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে মালেক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় ২ আগস্ট বাছাইয়ের পরদিন মালেককে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।’ সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি জানান, মানিক মিয়াকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। নির্বাচন সামনে রেখে তাকে গ্রেফতার করে মামলা দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

সর্বশেষ খবর